জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ইংল্যান্ডের মনোবলে চিড় ধরেনি তাতে।

জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন দাভিদ মালান। দারুণ সব স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি সাজিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে সিঙ্গেল নিয়ে ৯১ বলে তিন অঙ্কের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
মালান-রুট জুটিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ অব্যাহতই থেকেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান। মালান ১০১ ও রুট ব্যাট করছেন ৪৪ রানে।

ধর্মশালা স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম ১০ ওভারে তিন পেসারকে আক্রমণে আনেন তিনি। কিন্তু কোনো সুবিধাই পায়নি বাংলাদেশ। উল্টো রিভিউ নষ্ট হয়েছে একটি। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি মালান। বল সোজা চলে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। তবে এর আগে আওয়াজ শোনা গেছে কিছুটা। যদিও বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার আহসান রাজা। তাকে ভুল প্রমাণ করতে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু তাতে দেখা যায় বল মালানের ব্যাটে নয়, লেগেছে কাঁধে।

দশম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। বল হাতে নিয়েই চেপে ধরেন মালান-বেয়ারস্টোকে। অবশেষে ১৮তম ওভারে এসে সফলতার মুখ দেখেন তিনি। শিকার করেন ৫৯ বলে ৫২ রান করা বেয়ারস্টো। বলটি কোনো টার্ন করেনি। তবুও টার্ন করবে ভেবে ব্যাকফুটে খেললেন ডানহাতি এই ওপেনার। কিন্তু তাতেই হারিয়ে ফেললেন লেগ স্টাম্প। ভাঙে ১১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।

বেয়ারস্টো যেখানে শেষ করলেন, ঠিক সেখান থেকেই শুরুটা হয়েছে রুটের। সাকিব ছাড়া আর কোনো বোলারকে সেভাবে পাত্তা দেননি। তাই মালানের সঙ্গে তার জুটিটি এখন শতরানের পথে। সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে একটি রেকর্ডও গড়েছেন মালান। মাত্র ২৩ ইনিংসে ওয়ানডে ছয়টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। যা যেকোনো ক্রিকেটারের চেয়ে দ্রুততম। আগের রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের ব্যাটার ইমাম উল হকের (২৭ ইনিংস)।